শুক্রবার ১ আগস্ট ২০২৫ - ২০:০৬
কোমের দুই হাজারের বেশি আলেমের ইসলামী নেতৃত্ব ও গাজার প্রতি সমর্থন ঘোষণা; ট্রাম্পকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে কঠোর প্রতিক্রিয়া

ইরানের শীর্ষস্থানীয় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাওজায়ে ইলমিয়া কোমের দুই হাজারেরও বেশি আলেম ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষক একটি যৌথ বিবৃতিতে গাজার নির্যাতিত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন এবং ইসলামী নেতৃত্বের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: বিবৃতির প্রধান বিষয়বস্তু নিম্নরূপ:

বিবৃতিতে বর্তমানে গাজায় চলমান মানবিক সংকট, খাদ্য ও ওষুধের অবরোধ এবং সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে “নিষ্ঠুর গণহত্যা” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামী নেতৃত্বের প্রতি প্রকাশ্য হুমকি ও অবমাননাকর বক্তব্যকে বিশ্বের মুসলিমদের জন্য গভীর উদ্বেগজনক ও স্পষ্ট উসকানি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এই বিবৃতিতে আলেমগণ দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, মুসলমানদের ধর্মীয় নেতৃত্ব ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের ওপর কোনো আঘাত সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

তাঁরা উল্লেখ করেন, ইসলাম ধর্ম ও মানবাধিকারের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং নির্যাতিতদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান:
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিচারালয়সমূহকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গাজা, লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া ও ইরানে সংঘটিত সহিংসতার জন্য তাদের দায়বদ্ধ করা উচিত।

কোমের শীর্ষ আলেম ও শিক্ষকগণ তাঁদের বিবৃতিতে মুসলিম বিশ্ব ও মানবতা-পন্থী সব মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা অন্যায়, দখলদারিত্ব ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নেন। তাঁরা ধর্মীয় নেতৃত্বের নিরাপত্তা এবং গাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে এক ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha